আমার এই কাব্যনাট্যের কাহিনী মহাভারতের উদ্যােগ পর্ব থেকে নেওয়া হয়েছে। সত্যি মহাভারত হিমালয় তুল্য।মহাকাব্য এবং পৌরাণিক ইতিহাসও বটে।মহর্ষি
ব্যাসদেবের রচিত মহাকাব্য।শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাসের জন্মের আগে পরাশর মুনি এবং মৎস্যগন্ধার প্রেমের কাহিনী আমার এই কাব্যনাট্যের বিষয়। কাব্যনাট্যের
মুখ্য থীম বিষয়, প্লট নয়।
পরাশর:-ধীবরকন্যা, তোমার রূপের হয় না
তুলনা।তোমার রূপের কাছে মলিন
হবে চাঁদের জ্যােৎস্না।আমি পরাজিত
তোমার রূপের কাছে।এই মধু লগ্ন
তোমার সঙ্গে করতে চাই কামক্রীড়া। মৎস্যগন্ধা:-তোমার চরণে নমি আমি মুনিবর।
মিলনের জন্যে কেন এত কাতরতা?পরাশর:-এই শুভক্ষণে মিলন হলে তোমার
গর্ভে আমার ঔরস্যে জন্ম নেবে ঋষি
বেদব্যাস।তাই আর বিলম্ব সহে না।
মৎস্যগন্ধা:-মুনিবর,মৎস্যের গন্ধের জন্যে আমি
মিলনের উপযুক্ত না।কোন পুরুষ
আজ অবধি দুঃসহ মৎস্যের গন্ধের
জন্যে যৌবন মদিরা চাই না করতে
পান।আমি অভাগিনী।করো না ছলনা।পরাশর:-তোমার সতীত্বের কোনো ক্ষতি হবে না।
আমার আশীর্বাদে দূর হবে তোমার
মৎস্যগন্ধ।আজ থেকে পদ্মগন্ধ হব তুমি।হবে ব্যাসের জননী সত্যবতী।
মৎস্যগন্ধা:-মুনিবর,তোমার আশীর্বাদে দুঃসহ
মৎস্যগন্ধ দূর হয়েছে।শত যোজন
দূর থেকে আসছে পদ্মগন্ধ।বাতাসে
পদ্মগন্ধ চারিদিকে ছড়াচ্ছে।তোমার
চরণে সাষ্টাঙ্গ হয়ে জানাই প্রণাম।
পরাশর:-দেরি কেন?মিলনের জন্যে কাছে এসো।
মৎস্যগন্ধা:-যমুনার তীরে জনপদ আমাদের
দিকে আছে তাকিয়ে।তাকিয়ে আছে নায়ে
পারাপারের লোকজন।লজ্জা করছে।
পরাশর:-সত্যবতী,চেয়ে দেখে যমুনার বুকে
আমার আশীর্বাদে দ্বীপ হয়েছে।এই
দ্বীপ মিলনের উপযুক্ত স্থান বটে।
এ দ্বীপে শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস
তোমার কোলে পাবে।অকলঙ্কিত রবে
তোমার চরিত্র। উর্বর ভূমিতে বীজ
বপন করলে যেমন ফসল ভালো
হয়।তেমন তোমার মানব জমিনে
আমার পৌরুষের বীজ এখনই করব
বপন।নৌকা পড়ে থাকুক।চলো যায়
দ্বীপে।আমার আর দেরি সহে না বটে।
মৎস্যগন্ধা:-মিলনের জন্যে দ্বীপ সৃজন করলে,
কিন্তু দিবালোকে যমুনার চারিদিকে
জনপদ, লোকজন অপলক চোখে
আমাদের দিকে চেয়ে আছে।লজ্জা করে।
পরাশর:-সত্যবতী,চারিদিকে চেয়ে দেখ অই।
উপর থেকে কুহেলী চাদর আসছে
নেমে।শীঘ্রই আমাকে করো আলিঙ্গন।
#মঞ্চে সাদা পর্দা উপর থেকে আস্তে আস্তে নামবে।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক :মোঃ তানজিমুল ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টা :মোঃ ইশতিয়াক আহাম্মেদ
সম্পাদিকা ও প্রকাশক : সারমিন আখি
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বপ্ন সাহিত্য পরিষদ ও স্বপ্ন ২৪