1. admin@shapno24.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

চন্দ্রাবলীর উপাখ্যান অজিত কুমার সিংহ 

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬৫ বার পঠিত

চন্দ্রবলীর জোয়ান ছেলে কেঁদে কেঁদে যায়

কেন্দুয়া কুড়া শিকারে,

বাল বিধবা মাকে একা রইখ্যা ঘরে।

নান্দাইল নরসুন্দা নদীর পাড়ে ওদের গাঁও,

মানুষের আচার ব্যবহার ভালো।

তাই গায়ের  নাম আচারগাঁও।

চন্দ্রাবলীর ছেড়া হারাধন কেন্দুয়া গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে

এক গেরস্তের ঘরে।

একমাস পরে হারাধনের প্রেমে পড়েছে

গেরস্তের যুবতী কন্যারে।

এইদিকে বাল বিধবা মায়ের

যৌবনের জলতরঙ্গ করছিল টলমল।

চৈত্রের দুপুরে চন্দ্রাবলী নরসুন্দা নদীর জলে

গোসল করে স্বল্প বসনে।

নদীর পাড়ে লুকিয়ে দেখে পইদ্যার ছেলে অরুন।

কাঁচা সোনার মতো চন্দ্রাবলীর গায়ের

রঙ দেখে পইদ্যার ছেলের মন আনচান করে,

ও দিবারাত্রি চন্দ্রাবলীর স্বপ্ন দেখে থাকতে পারে না ঘরে।

একদিন পূর্ণিমার রাতে অরুণ যায় একা চন্দ্রাবলীর

ঘরে।ওর রূপ দেখে মনে করে পূর্ণিমার

চাঁদের আলো বুঝি নেমে এসেছে ঘরে।

প্রথম দর্শনে চার চোখের মিলন হলো চন্দ্রাবলীর কুটিরে,

সপ্তদিন পরে যৌবনের জ্বালা সইতে না পেরে অরুণের

সঙ্গে হারাধনের মা পালিয়ে গেল কিশোরগঞ্জের

মিঠামইন গ্রামে,

এক বছর পরে চন্দ্রাবলীর ছেড়া

বউ নিয়ে ফিরে এল ওর গ্রামে।

মায়ের কুকৃতি শুনে

ছেড়া থু থু দিল দেয়ালে টাঙানো মায়ের ছবিতে,

ও বউ নিয়ে বসবাস করতে লাগল ঘরে সুখে শান্তিতে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ স্বপ্ন ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park