নিলাদ্রী ও রুদ্রর প্রেমগাথা
✍️ মোঃ তানজিমুল ইসলাম
হিজল-ছাওয়া গ্রামের বাতাসে ভেসে আসে সুবাস,
প্রকৃতির বুকে জন্ম নেয় নিস্তব্ধ ভালোবাসা।
সেই গাঁয়ের মাটির গন্ধে রূপকথা হয়ে ফুটে,
নিলাদ্রী, স্বপ্নময়ী, রূপে আলো ছড়ায় নির্ভৃত।
হরিণীর মতো চোখে তার অদ্ভুত স্বপ্নের ঢেউ,
হাসিতে ঝরে মুক্তো যেন, কেশে আঁধার নেমে যায় ঢেউ।
ঢাকার আঙিনায় নতুন পথ খুলে দেয় আশা,
ডাক্তার হয়ে সেবায় ভরাবে মানুষের ভালোবাসা।
নীরব পাঠাগারে প্রথম দেখা, নীরবতার মাঝে,
রুদ্র বসে বইয়ে ডুবে, ভাবনায় হারিয়ে সাজে।
অসুখ এলে নিলাদ্রী হলো সেবার নরম ছায়া,
সেই থেকে রুদ্রের হৃদয়ে প্রেমের আলোয় ছায়া।
চোখে চোখে অনল জ্বলে, ঠোঁটে নেই উচ্চারিত বাণী,
তবুও হৃদয় জানায় কথা, “ভালোবাসি, মানি।”
লেকপাড়ের বিকেলে দুলে ওঠে সাহসী সুর,
“রুদ্র, তোমায় ভালোবেসেছি, অজান্তেই ভরপুর।”
রুদ্রের চোখ ভিজে উঠে, কণ্ঠ কেঁপে বলে,
“নিলাদ্রী, তুমি-ই আমার স্বপ্ন, তুমি-ই অন্তরে।
তুমি আমার আকাশ, তুমি-ই আমার সমুদ্র,
তুমিই আমার আলো, তুমিই আমার প্রণয়-সূর্য।”
তারপর থেকে প্রতিটি দিন হলো কবিতা,
ক্যাম্পাসের পথে ভেসে বেড়ায় প্রেমের গাথা।
হাতে হাত রেখে তারা গড়ে জীবন-গান,
নিলাদ্রী আর রুদ্র, ভালোবাসার চিরন্তন দান।